প্রবীণ ওই নারী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। বুধবার ওসিসিতে গিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ সময় তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকেন। ওসিসিতে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করা বা কথা বলার অনুমতি পাওয়া যায় না। তবে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, শয্যায় তিনি ঘুমাচ্ছেন। শরীর এতটাই জীর্ণ-শীর্ণ যে মনে হচ্ছিল ‘বিছানার সঙ্গে লেগে আছেন’। চিকিৎসকদের ভাষায়, তাঁর গায়ের চামড়া থেকে অনুমান করা যায় বয়স তাঁর আরও বেশি, ৭০-৭৫ বছরও হতে পারে।
পুলিশ ও ওসিসি থেকে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রবীণ নারীকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। ওই নারীকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল দেন। এরপর শাহবাগ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নারীকে উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী নারী পুলিশ, ওসিসির চিকিৎসক ও আইনজীবীদের জানিয়েছেন, আগের দিন শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছেলের সঙ্গে থাকতেন। ছেলের নামও বলেছেন। তবে তিনি চান না ছেলে ধর্ষণের ঘটনা জানুক। একবার তিনি বলেছেন, ছেলে ও পুত্রবধূ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। আবার এমনও বলেছেন, ত্রাণ পাওয়ার আশায় তিনি নিজেই কয়েকজন নারীর সঙ্গে ঢাকায় এসেছেন।