আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর, কৃষ্ণরামপুর, দত্তেরহাট ও সোনাপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি এলাকা হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে ডুবে আছে। সড়কগুলো তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণেও হাঁটুপানি। বন্যার পানির কারণে গোটা শহরের বাসিন্দারাই পানিবন্দী অবস্থায় নিদারুণ কষ্টে দিন যাপন করছেন। শহরের প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্ত মানুষের ভিড়।
বন্যার্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলার যেসব সড়কে তুলনামূলক বন্যার পানি কম ওই সব এলাকার নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে এবং বাসাবাড়িতে আটকে পড়া লোকজন কমবেশি সরকারি–বেসরকারি ত্রাণ পাচ্ছেন। কিন্তু জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন সড়ক থেকে দূরবর্তী প্রত্যন্ত গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দা সহায়তা পাননি। বন্যার পানি বেশি হওয়া তাঁদের কাছে কেউই ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন না।
সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মামুন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। এলাকার অবস্থা খারাপ শুনে পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে এসেছিলেন নিজের পরিবার-পরিজনকে উদ্ধার করতে। এসে দেখেন পুরো এলাকা হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে ডুবে আছে। গতকাল রাতের বৃষ্টিতে পানি আরও বেড়েছে। সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কের ওপর হাঁটুসমান পানি। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু পরিবারকে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু এলাকায় অনেক পরিবার রয়েছে, যারা চার-পাঁচ দিন ধরে সামান্য শুকনা খাবার খেয়ে আছেন। কেউ আছেন না খেয়ে।