সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকসহ ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৬’শ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে বিরামপুর থানায় সোমবার রাতে নাশকতা লুট-ও ভাংচুর ঘটনার অভিযোগে একটি মামলা আদায় করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক সুব্রত কুমার সরকার। তিনি বলেন,গতরাত ৯ টায় দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ মকুন্দপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র মোঃ গোলপ হোসেন বাদী এ মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আসামীদের মধ্যে ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৬০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে। আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী শাদিক (৪৫),বিরামপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র মোঃ আক্কাস আলী (৫৮),সাবেক বিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু (৪৫),সাবেক পৌরসভার মেয়র মোঃ লিয়াকত আলী টুটুল(৫০),ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল (৪৫),ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রবিউল ইসলামসহ (৪৮), জেলার বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ১৩৩ জমের নাম এজাহারে আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ৬০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বাদী তার এজাহারে অভিযোগ করেন,গত ৫ আগস্ট দুপুর আড়াই টায় জেলার বিরামপুর উপজেলায় পৌর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র- জনতা একত্রিত হয়ে বিরামপুর শহরের ঢাকা মোড় নামক স্থান থেকে সরকারী কলেজ মোড় পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক প্রতিবাদী জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।
এ সময়ে অতর্কিতভাবে ঘটনাস্থলে আসামীরা উপস্থিত হয়ে অস্ত্র ও লাঠি সোডা হাতে নিয়ে আন্দোলন কারীদের উপর হামলা চালায়। আসামী সাবেক সংসদ শিবলী সাদিকের হুকুমে আন্দোলনকারীদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে তাদেরকে আহত করে। এ ঘটনায় বাদী সোমবার রাতে বিরামপুর থানায় হাজির হয়ে অত্র মামলাটি দায়ের করেছেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিরামপুর থানার এস আই মোঃ আবুল কালাম আজাদ গতকাল রাতে জানান, তিনি মামলা দায়েরের পর তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। বাদীর কাছে রক্ষিত আলামত জব্দ করেছেন। আজ মঙ্গলবার তিনি ঘটনাস্তার পরিদর্শন করবেন।উল্লেখ এ মামলাসহ সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এর বিরুদ্ধে বিরামপুর, হাকিমপুর ও নবাবগঞ্জ ৩টি থানায় দু’টি হত্যাসহ ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।