নাফিজের বাবা গোলাম রহমান ও মা নাজমা আক্তার। নাফিজের ঘরে বসে তাঁরা একটি প্যাকেট থেকে একে একে ছেলের কলেজের নতুন পোশাক, ছোটবেলার নীল রঙের একটি বল আর রিমোটচালিত খেলনা গাড়ি বের করে দেখালেন। বললেন, ‘ছেলে কলেজে পড়লেও এগুলো দিয়ে খেলত। স্কুলে বিতর্ক করত।’
রিকশার পাদানিতে সন্তানের রক্তাক্ত শরীরের ছবি দেখিয়ে পেশায় ব্যবসায়ী গোলাম রহমান বলেন, ‘ওই যে দেখেন, ছেলেটা রিকশার রডটা ধইরা রাখছিল। কত খুঁজলাম, তখন যদি ছেলেটারে পাইতাম, বাঁচানোর জন্য একটু চেষ্টা করতে পারতাম। ছেলের বুকের মধ্যে লাগা গুলি পিঠের দিক দিয়া বাইর হইয়া যায়। পরে তো শুনি আমার চাঁদের মতো ছেলেটা মর্গে আছে।’
নাফিজের পরিবারের সদস্য, বন্ধুসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্দোলন করতে গিয়ে ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফার্মগেটের পদচারী–সেতুর নিচে নাফিজ গুলিবিদ্ধ হয়। নাফিজ নিজের মুঠোফোন বাসায় রেখে গিয়েছিল। তিনটার দিকে এক বন্ধুর মুঠোফোন থেকে মাকে ফোন করে বলেছিল, ফার্মগেটের দিকে আছে সে। ভালো আছে। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবে।