তাই আমাদের বেশি বেশি তওবা–ইস্তিগফার করতে হবে এবং নির্দিষ্ট মাসনুন দোয়াগুলো পড়তে হবে।
‘প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়া বইলে রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে যেতেন, আজান দিতেন ও নামাজে মশগুল হতেন।’ (মিশকাত: ৬৯৬ ও ৫৩৪৫)
বৃষ্টির সময় পড়ার দোয়া, ‘আল্লাহুম্মা ছাইয়েবান নাফিআ’ (হে আল্লাহ! উপকারী বৃষ্টি দিন)। (তিরমিজি)
ঝড়–তুফানের সময় পড়ার দোয়া, ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাই না, ওয়া লা আলাইনা (হে আল্লাহ! আমাদের আশপাশে ফিরিয়ে নিন, আমাদের ওপর দেবেন না)।’ (মুসলিম ও তিরমিজি)
বজ্রপাতের সময় পড়ার দোয়া, ‘আল্লাহুম্মা লা তাকতুলনা বিআজাবিকা ওয়া লা তুহলিকনা বিগদাবিকা ওয়া আফিনা কাবলা জালিকা (হে আল্লাহ! আজাব ও গজব দিয়ে আমাদের ধ্বংস ও নিঃশেষ করে দেবেন না; তার আগেই আমাদের ক্ষমা করে দিন)।’ (আবু দাউদ)
আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচার জন্য আমাদের দ্বীনের ওপর চলতে হবে; নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দান–সদকা ইত্যাদি নেক আমল বেশি বেশি করতে হবে।
হাদিস শরিফে আছে, ‘যখন কোথাও ভূমিকম্প হয় অথবা সূর্যগ্রহণ হয়, ঝড়ে বাতাস বা বন্যা হয়; তখন মানুষের উচিত মহান আল্লাহর কাছে অতি দ্রুত তওবা করা, তার নিকট নিরাপত্তার জন্য দোয়া করা এবং মহান আল্লাহকে অধিক হারে স্মরণ করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করা।’