প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোরো ধান সাধারণত ডিসেম্বর–জানুয়ারি মাসে রোপণ করা হয়। আর এপ্রিল–মে মাসে তা কাটা হয়। সাধারণত বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি বিপদ আসে। খরা থেকে শুরু করে তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় ও পোকার আক্রমণ এ সময় বেশি হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এ বছর ৩৯ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এখান থেকে দুই কোটি পাঁচ লাখ টন চালের উৎপাদন হতে পারে।
আউশ মৌসুমে এবার ৯ লাখ হেক্টর জমিতে ২১ লাখ টন ধান হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ কম। আউশের ভরা মৌসুম জুন–জুলাই মাসে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। আগস্টে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লায় হঠাৎ বন্যার কারণে ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশের উজানে ভারত থেকে আসা ঢলের কারণে মুহুরী, কহুয়া, সিলোনিয়া ও গোমতী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী দুই লাখ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।