আরেক সদস্য সিফাত হোসেন কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘ট্রাক থেকে এত খুঁজলাম, কেউ কিছু দিল না। স্বেচ্ছাসেবকদের গ্রামে নিয়ে যেতে চাইলাম, তা–ও গেল না। ওদিকে মানুষ মুড়ি, পানিও পাচ্ছে না।’
ফেনীতে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করার তিন দিন পর গতকাল সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় পানি কিছুটা কমা শুরু করেছে। এতে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দুর্গত মানুষেরা বেরিয়ে আসতে শুরু করেন।
খাবারের খোঁজে বেরিয়ে পড়া আজাদদের বাড়ি বালিগাঁওয়ের সুন্দরপুরে। ওই গ্রামের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন, শেখ রাহাত, সিফাত হোসেন ও আবদুর রহমান—কেউ চাকরিজীবী, কেউ শিক্ষার্থী। তাঁরা ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় পরিবারের অন্যদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেন। শেখ রাহাত জানান, সুন্দরপুর গ্রামটা সদর থেকে কিছুটা ভেতরে। গ্রামে সরু রাস্তা। কিছুটা পাকা ও কিছুটা মেঠো পথ। পুকুর, জলাশয়, গাছগাছালিতে ভরপুর। ছোট ছোট দোকানপাটও আছে। তবে বড় ভবনের সংখ্যা কম।